কুকুরছানা হত্যা মামলায় সরকারি কর্মকর্তার স্ত্রী কারাগারে: ঈশ্বরদীতে চাঞ্চল্য

  • প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, রাত ০৮:৩২
  • আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, রাত ০৮:৩২
কুকুরছানা হত্যা মামলায় সরকারি কর্মকর্তার স্ত্রী কারাগারে: ঈশ্বরদীতে চাঞ্চল্য

মোঃ মনিরুজ্জামান মুন্না, ষ্টাফ রিপোর্টার


পাবনার ঈশ্বরদীতে আটটি সদ্যোজাত কুকুরছানা বস্তাবন্দি করে পুকুরে ডুবিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় অভিযুক্ত নিশি রহমানের (৩৮) জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। অভিযুক্ত নিশি রহমান ঈশ্বরদী উপজেলা ক্ষুদ্র কৃষক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা হাসানুর রহমান নয়নের স্ত্রী। গত মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাতে ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আকলিমা খাতুন বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় ‘প্রাণী কল্যাণ আইন-২০১৯’ এর ৭ ধারায় মামলাটি দায়ের করেন। ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ স ম আব্দুন নূর জানান, মামলার পরপরই মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে অভিযান চালিয়ে ঈশ্বরদী উপজেলা সদরের রহিমপুর গার্লস স্কুলের পাশের একটি চারতলা বাসা থেকে অভিযুক্ত নিশি রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আকলিমা খাতুন জানান, ঘটনাটি বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত ও সমালোচিত হওয়ায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এবং মহাপরিচালক স্যারের নির্দেশনায় তিনি মামলাটি দায়ের করেন। ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান, কুকুরছানা হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত নিশি রহমানের স্বামী ও ক্ষুদ্র কৃষক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা হাসানুর রহমান নয়নকে সোমবার গেজেটেড কোয়ার্টার ছাড়তে লিখিত নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তারা মঙ্গলবার বিকেলে বাসা ছেড়ে চলে গেছেন। মা কুকুর ‘টম’ গত রোববার রাতে আটটি বাচ্চা প্রসব করে। সোমবার সকাল থেকে তার ছানাগুলো না পেয়ে পাগলের মতো ছোটাছুটি করতে দেখা যায়। পরে উপজেলা পরিষদের কর্মচারীরা জানতে পারেন, অভিযুক্ত নিশি রহমান জীবন্ত কুকুরছানাগুলোকে বস্তার মধ্যে বেঁধে রোববার রাতে উপজেলা পরিষদের পুকুরে ফেলে দেন। পরের দিন সকালে ছানাগুলোর মরদেহ উদ্ধার করে মাটি চাপা দেওয়া হয়। নিশি রহমান সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, বাচ্চাগুলো খুব বিরক্ত করায় তিনি বাজারের ব্যাগে ভরে সজিনা গাছের গোড়ায় রেখে এসেছিলেন। কীভাবে পুকুরে পড়েছে সেটি তিনি জানেন না এবং নিজে ছানাগুলোকে পুকুরে ফেলেননি।

Ad